,

নারীর প্রলোভন দেখিয়ে ইজিবাইক চালককে হত্যা

সংবাদদাতা ॥ চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থেকে গলিত লাশ উদ্ধারের প্রায় দেড় বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে লাশ উদ্ধারের ছয় মাস পর। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা চালককে হত্যা ও ইজিবাইকটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত শনি ও রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আটকরা হলেন, মাধবপুর উপজেলার খড়কি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৩০), একই উপজেলার বেজুড়া গ্রামের ছফন উদ্দিনের ছেলে মুসলিম মিয়া (২৭) ও বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৪০)।
নিহত ইজিবাইক চালকের নাম আলমগীর মিয়া (২৫)। তিনি মাধবপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। পুলিশ গত বছরের ১৭ জুলাই সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে একটি টিলা থেকে শরীরের ৯০ শতাংশ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে।
এসপি জানান, মরদেহ উদ্ধারের ৬ মাস পর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি নিহত আলমগীরের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর তার মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত ১৮ ডিসেম্বর চুনারুঘাট থেকে মুসলিম ও ২০ ডিসেম্বর বানিয়াচং উপজেলা থেকে রোকন এবং সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন খুনিরা ইজিবাইকচালক আলমগীরকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যান। সেখানে একটি দোকানে আলমগীরকে ঝালমুড়ি খাওয়ায়। এরপর উদ্যানের ভেতরে একটি টিলায় নিয়ে তিন জন মিলে তাকে হত্যা করেন।
হত্যার পর আলমগীরের ইজিবাইকটি নিয়ে যাওয়া হয় বানিয়াচং উপজেলায়। সেখানে অন্য একজনের কাছে ইজিবাইক বিক্রি এবং বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া ৬০ হাজার টাকা তিন জন ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।


     এই বিভাগের আরো খবর